গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে উলপুর গ্রামে প্রাচীন বাংলার জমিদারদের শৌর্যবীর্য এবং আভিজাত্যের সাক্ষী উলপুর জমিদার বাড়ি (Ulpur Zamindar Bari) অবস্থিত। জানা যায়, উলপুরের জমিদারেরা একশত ঘর শরীক ছিলেন। ১৯০০ শতকে জমিদার প্রীতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী প্রায় ২০০ একর জায়গা জুড়ে উলপুর জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। কালের আবর্তে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও তৎকালীন জমিদার কতৃক নির্মিত ভবনগুলো ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসাবে স্বগর্বে টিকে আছে।

উলপুর গ্রামে জমিদারীর কাজে ব্যবহৃত ৮ টি দোতালা দালান সহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনগুলো বর্তমানে উলপুর তহশীল অফিস, সাব পোষ্ট অফিস, পুরনো ইউনিয়ন বোর্ড অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পুরানো সরকারী শিশু সদন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উলপুর জমিদার বাড়ির বেশিরভাগ স্থাপনা আজ ধ্বংসের পথে। উলপুর পিপি হাইস্কুল হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটিই কেবলমাত্র ভাল অবস্থায় রয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে পলাশ, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, গোল্ডেন লাইন, গ্রিনলাইন, কমফর্ট, রাজধানী কিংবা বিআরটিসির বাসে গোপালগঞ্জ যাওয়া যায়। গোপালগঞ্জের কুয়াডাংগা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উলপুর গ্রামে এসে স্থানীয় যেকাউকে জিজ্ঞাসা করলে উলপুর জমিদার বাড়ির সন্ধান পেয়ে যাবেন।

কোথায় থাকবেন

গোপালগঞ্জ শহরে হোটেল মধুমতি, হোটেল রানা, পলাশ গেস্ট হাউজ, হোটেল শিমুল, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত ও হোটেল জিমি সহ বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস রয়েছে।

কোথায় খাবেন

গোপালগঞ্জ শহরে বাঙ্গালী খাবারের পাশাপাশি ফাস্টফুড ও চাইনিজ খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের কাছে লেক ভিউ ক্যাফে, ভুতের বাড়ি, বারবিকিউ টুনাইট বা এফএনএফ রেস্টুরেন্টে নিজের পছন্দের খাবার খেতে পারবেন।

গোপালগঞ্জের দর্শনীয় স্থান

গোপালগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, বিট রুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সিবাড়ি, শেখ রাসেল শিশু পার্ক ও লাল শাপলার বিল প্রভৃতি।

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে উলপুর জমিদার বাড়ি

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।