কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শহরের একমাত্র পিকনিক স্পটের নাম টুপামারী পুকুর (Tupamari Dighi)। টুপামারী পুকুরকে কেন্দ্র করে প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে এই পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে। কুড়িগ্রামের আশেপাশের জেলা থেকে শৌখিন মৎস্য শিকারিরা এই পুকুরে মৎস্য শিকারের জন্য এসে থাকেন। শীতকালে পুকুরের মনোরম পরিবেশে পিকনিক করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ঘুরতে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যাও কম নয়।
স্থানীয়দের মতে, ১৯৮০ সালে টুপামারী পুকুর খননের পূর্বে স্থানটি নিচু জলাভূমি ছিল। ১৯৮১ সালে টুপামারী পুকুরে মাছ ও কচ্ছপ চাষ করার পাশাপাশি চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। পরবর্তীতে এটি স্থানীয়দের কাছে আধুনিক পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। প্রতি ৬ মাস পর পর এই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়। মাছ ও কচ্ছপ চাষ এবং বিভিন্ন ফল ফলাদি বিক্রি করে প্রতি বছর প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা আয় হয়ে টুপামারী পুকুর থেকে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার আসাদগেট, কল্যাণপুর এবং গাবতলি থেকে নাবিল, হক স্পেশাল, হানিফ, তানজিলা, এনা প্রভৃতি বাসে কুড়িগ্রাম যাওয়া যায়। আবার কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি কুড়িগ্রাম যেতে পারবেন।
কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে সিএনজি বা ইজিবাইকে উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে আসা যায়। উলিপুর উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে একেসি রোডের ১২৫ মিটার পূর্বে মনোরম পরিবেশে টুপামারী পুকুরের অবস্থান।
কোথায় থাকবেন
কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে অবস্থিত বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল অর্নব প্যালেস, হোটেল ডিকে, হোটেল স্মৃতি, হোটেল নিবেদিকা ও হোটেল মেহেদী উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
কুড়িগ্রামের শাপলা মোড়ে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি বা এশিয়া হোটেলের খাবার বেশ ভালো। এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে সিদল ভর্তা ও তিস্তা নদীর বৈরাতী মাছ অন্যতম।
কুড়িগ্রামের দর্শনীয় স্থান
কুড়িগ্রামে উলিপুর মুন্সিবাড়ী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক, ধরলা ব্রিজ, ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ী ও চান্দামারী মসজিদের মতো উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
ফিচার ইমেজ: সংগৃহীত
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।