তারা মসজিদ (Start Mosque) পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। মসজিদের গায়ে কোন শিলালিপি না থাকায় মসজিদটির সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় ১৮ শতকের শুরুর দিকে তৎকালীন ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর তারা মসজিদ নির্মাণ করেন। মোঘল স্থাপত্য কৌশলে নির্মিত মসজিদটি অনেকের কাছে সিতারা মসজিদ বা মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ নামে পরিচিত।
নির্মাণকালে মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ১২ ফুট। আয়তাকার মসজিদের ছাদে স্থাপন করা হয় নীল রঙের তারা খচিত সাদা বৃত্তাকার ৩ টি গম্বুজ। সমস্ত মসজিদের নকশায় তারার ‘মোটিফ’ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এই বিশেষ নকশার জন্যই মসজিদটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে ৩ টি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে ১ টি করে দরজা রাখা হয়।
এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী জান বেপারী ১৯২৬ সালে মসজিদটির সংস্কার কাজ আরম্ভ করেন। তখন মসজিদটির পূর্বদিকে সম্প্রসারণ করে বারান্দা তৈরী করা হয় এবং চিনি-টিকরী কৌশলের মসজিদটিতে রঙিন চীনা মাটির টুকরা ও কাঁচ ব্যবহার করে মোজাইক করা হয়।। তৃতীয় ধাপে ১৯৮৭ সালে মসজিদটি আবার সংস্কার করা হয়। তখন মসজিদের পুরনো মেহরাব ভেঙে নতুন ৩ টি মেহরাব তৈরী করা হয়। মসজিদের ছাদে আরো দুইটি গম্বুজ স্থাপন এবং দেয়ালে চাঁদ, তারা, ফুল ও আরবি ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে শোভাবর্ধন করা হয়। সম্প্রসারিত মসজিদটির বতর্মান দৈর্ঘ্য – প্রস্থ যথাক্রমে ৭০ এবং ২৬ ফুট।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা শহরের যেকোন জায়গা থেকে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় এসে রিকশা দিয়ে সহজেই আরমানিটোলা যেতে পারবেন। চানখাঁরপুল থেকে তারা মসজিদে যেতে ৩০ টাকার মত রিক্সা ভাড়া লাগতে পারে।
কোথায় খাবেন
খাবারের জন্য পুরান ঢাকার রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য। আল রাজ্জাক, হাজীর বিরিয়ানি, কাশ্মির কাচ্চি, বিউটি বোডিং কিংবা সুলতানের চা থেকে নিঃসন্দেহে খাবারের আইটেম বেছে নিতে পারেন।
আর কি কি দেখবেন
হাতে সময় থাকলে রোজ গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, শহীদ মিনার, মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, দোয়েল চত্তর, সরোয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা ইনস্টিটিউট, জাতীয় জাদুঘর অথবা টিএসসি তে কাটিয়ে যেতে পারেন একটি বিকাল।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।