শামলাপুর সমুদ্র সৈকত দেখতে হলে টেকনাফের কাছে বাহারছড়া ইউনিয়নে যেতে হবে। সবুজ ঝাউবন, মাছ ধরার নৌকা এবং জেলেদের ব্যস্ততা ছাড়া এখানে তেমন মানুষজনের দেখা মিলে না। আর এই নির্জনতাই ভ্রমণপ্রিয় মানুষকে শামলাপুর সমুদ্র সৈকতের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে। দৃষ্টিনন্দন এই সমুদ্র সৈকতটি বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত নামেও পরিচিত।
কক্সবাজার, ইনানি কিংবা সেন্টমার্টিনের মত জনমানুষ পূর্ণ না হলেও নীল জলরাশি, সূর্যাস্থ, জেলেদের মাছ ধরার কর্মতৎপরতা, স্থানীয় শিশু ও মানুষের বৈচিত্রময় জীবন আপনাকে নাগরিক জীবনের অস্থিরতা থেকে ভুলিয়ে রাখবে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা কিংবা দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার এসে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে প্রায় ২ ঘণ্টার দূরত্বে নয়নাভিরাম শামলাপুর সমুদ্র সৈকত বা বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতের অবস্থান।
টেকনাফ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শামলাপুর সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। টেকনাফের হোয়াইক্যং রোড ধরে শামলাপুর যেতে যাত্রাপথের প্রতিটি মুহুর্তই উপভোগ্য। টেকনাফের বাসে টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং রোড নেমে ধমধমিয়া হয়ে সিএনজি কিংবা ব্যাটারি অটো রিক্সা দিয়ে শামলাপুর সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
শামলাপুর থাকার কোন ব্যবস্থা নেই, টেকনাফে চাইলে মাঝারি মানের হোটেলে থাকতে পারবেন। তবে পর্যটকগন কক্সবাজারই রাত্রিযাপন করেন। কক্সবাজারের বিভিন্ন দাম ও মানের প্রায় ৫০০ আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। আপনার পছন্দ মত যে কোন হোটেলে দরদাম করে থাকতে পারবেন। সিজন ও ছুটির দিন ব্যাতিত গেলে কক্সবাজার গিয়েই হোটেল ঠিক করে নিতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন আমাদের কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড।
কি খাবেন
কক্সবাজার প্রায় সব ধরণ ও মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। মাঝারি মানের বাজেট রেস্টুরেন্টের মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি, আল বোগদাদিয়া ইত্যাদি উল্লেখ করার মত। সিজন অনুসারে অন্য অনেক কিছুর মত খাবারের দামও এখানে কম/বেশী হতে পারে। এছাড়াও লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন হান্ডি রেস্তারা থেকে ২০০-২৫০ টাকায় হায়দ্রাবাদী বিরাণী চেখে দেখতে পারেন। আর যারা একটু খাবার বিলাসী তাদের জন্য কেওএফসি তো আছেই।