জামালপুর জেলা সদরের ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে চাপাতলি ঘাটের কাছে অত্র অঞ্চলের বিখ্যাত সাধক পুরুষ পীর শাহ জামালের মাজার শরীফ (Shah Jamaler Mazar) অবস্থিত। ১৫৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হযরত শাহ জামাল (রহঃ) ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্য ইয়েমেন থেকে এই অঞ্চলে আগমণ করেন। সুফি দরবেশ পীরে কামেল হযরত শাহ জামাল (রহঃ) এর আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা মুঘল দরবার পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। তখন বাদশা আকবর হযরত শাহ জামাল (রহঃ) এর খানকা শরীফের সমস্ত ব্যয় বহন করার আগ্রহ পোষণ করেন। সেই সাথে হযরত শাহ জামাল (রহঃ) এর কাছে কয়েকটি পরগনা দানের সনদ পাঠান। কিন্তু হযরত শাহ জামাল (রহঃ) এই লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাণ করেন। হযরত শাহ জামাল (রহঃ)-এর কারণে এ অঞ্চল জামালপুর নামে পরিচিতি লাভ করে।
বর্তমানে হযরত শাহ জামালের মাজার শরীফের নির্মাণে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আর সমাধিস্থলের পাশে একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ রয়েছে। প্রতি বছর ধারাবাহকভাবে এখানে ওরস মাহফিল অনুষ্টিত হয়। এছাড়া প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত মাজার শরীফ জিয়ারত এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এখানে মানত করতে আসে।
জামালপুর কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে জামালপুর (Jamalpur) যাওয়া যায়। তবে ঢাকা হতে জামালপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেন ভ্রমণ করাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যমুনা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনে জামালপুর যাওয়া যায়। আর বাসে চড়ে জামালপুর যেতে চাইলে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে মহানগর, এনা কিংবা রাজীব পরিবহণের বাসে যেতে পারবেন।
বাস কিংবা ট্রেনে জামালপুর জেলায় পৌঁছে রিক্সা বা ইজিবাইক ভাড়া করে ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে চাপাতলি ঘাটের কাছে অবস্থিত পীর শাহ জামালের মাজার শরীফ দর্শনে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
জামালপুর সদরে অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোতে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। জামালপুরের আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল (01735-544650), হোটেল সৌদিয়া ইন্টারন্যাশনাল (01766-755755), হোটেল শেখ রিপন ইন্টারন্যাশনাল (01717-629225), হোটেল প্রতিক্ষা (01912-877811), হোটেল আল সামাদ (01725-067720) উল্লেখযোগ্য।
ফিচার ইমেজ: ফজলে রাব্বি
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।