বাংলাদেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে অধ্যক্ষ নাজমুল হক এই পাথরের জাদুঘর গড়ে তোলেন। জাদুঘরে বিভিন্ন রং, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পাথর সংরক্ষিত আছে। হাজার বছরের পুরনো পাথর ছাড়াও এখানে প্রাচীন ইমারতের ইট এবং পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। জাদুঘরের জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালায় রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। উন্মুক্তভাবে এখানে বেশ কিছু বড় বড় পাথর এবং একটি শাল গাছ দিয়ে তৈরি ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩০০ বছর পুরনো দুইটি নৌকা রয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে আর কোন পাথরের জাদুঘর নেই, তাই অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে যান পঞ্চগড়ের এই ব্যতিক্রমী পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম থেকে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি পঞ্চগড় যাবার জন্য বিভিন্ন ডে-নাইট বাস সার্ভিস চালু আছে। নন-এসি হানিফ অথবা নাবিল পরিবহনণের বাসে সরাসরি পঞ্চগড় যেতে জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ভাড়া লাগবে। হানিফের ভলভো বাসে বিজনেস ক্লাসে ভাড়া লাগবে ১৫০০ টাকা, আর ইকোনমি ক্লাসে ১২০০ টাকা। নাবিলের স্কেনিয়া বাসের বিজনেস ক্লাসের টিকেট কাটতে ১৬০০ এবং ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কাটতে ১০০০ টাকা লাগে।
ঢাকা থেকে ট্রেনে সরাসরি পঞ্চগড় যাবার সুযোগ নেই, এক্ষেত্রে সন্ধ্যায় দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন দিয়ে দিনাজপুর বা পার্বতীপুর যেতে হবে। দিনাজপুর যেতে প্রায় ভোর ৬ টা বাজবে, এরপর ৩ ঘন্টার বাস জার্নিতে চলে যান পঞ্চগড়। এছাড়া দিনাজপুর কিংবা পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশান থেকে লোকাল ট্রেন ও ডেমু ট্রেন পঞ্চগড় যায়। সময় মিলে গেলে সে সব ট্রেনে চলে যেতে পারেন পঞ্চগড়।
কোথায় থাকবেন
রাত্রি যাপনের জন্য পঞ্চগড়ে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এই সব হোটেলের ধরন অনুযায়ী ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
যদি ট্রেনে যাত্রা করেন তবে দিনাজপুরে রুস্তম কিংবা ফাইভ স্টার হোটেলের গরুর ভুনা মাংস মিস করা ঠিক হবে না। এছাড়া দিলশাদ হোটেল আর রোলেক্স ফুডের খাবার চেখে দেখতে পারেন। পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
আশেপাশের আরো কিছু দর্শনীয় স্থানঃ
– মহারাজার দিঘী
– মির্জাপুর শাহী মসজিদ
– ভিতরগড় দুর্গনগরী
– গোলকধাম মন্দির
– বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
– বার আউলিয়া মাজার শরীফ
– তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো