পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর তীরে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ৩৩ একর জায়গা জুড়ে পাকশী রিসোর্ট (Pakshi Resort) গড়ে তোলা হয়েছে। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী এবং নৈস্বর্গিক ল্যান্ডস্কেপ পাঁচ তারকা মানের পাকশী রিসোর্টকে দিয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। পাকশী রিসোর্টের শোভা বাড়িয়েছে ফুলের বাগান, প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, ফলের বাগান, নান্দ্যনিক লেক, মিনি চিড়িয়াখানা, সুইমিং পুল, স্পা, মাল্টি কুজিন রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট এবং বিভিন্ন ইনডোর গেমসের আয়োজন।
ইনডোর গেইমসের মধ্যে আছে বাস্কেট বল, টেবিল টেনিস, লং টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড, কেরাম, দাবা ইত্যাদি। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এই রিসোর্টে আছে ক্যাম্প ফায়ার এবং তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। সেই সাথে লেকের পাড়ে বেঞ্চে বসে প্রকৃতি দেখতে দেখতে উপভোগ করতে পারবেন বাংলার চিরায়ত লোক সঙ্গীত।
যোগাযোগ
পাকশী রিসোর্ট, খানকা শরীফ রোড, ঈশ্বরদী উপজেলা, পাবনা – ৬৬০০
মোবাইল: +88-01730-706258, +88-01730-706251
ওয়েবসাইট: www.pakshiresort.com
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে যাওয়া যায়। পাকশী থেকে পাকশী রিসোর্ট যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকার কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গগামী ট্রেনে ঈশ্বরদী জংশনে আসতে হবে। ঈশ্বরদী হতে সিএনজি বা আপনার সুবিধামত স্থানীয় পরিবহণ ভাড়া নিয়ে পাকশী রিসোর্ট যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
পাকশী রিসোর্টে রাত্রিযাপনের জন্য তিন তলা বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুইটি ভবন রয়েছে।
কোথায় খাবেন
পাকশী রিসোর্টের অবস্থিত রেস্টুরেন্টের নাম ষড়ঋতু। এখানে দেশি খাবারের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, চায়নিজ এবং থাই খাবার পাওয়া যায়।
পাকশী রিসোর্টের কাছে আর যা দেখতে পারেন
পাকশী রিসোর্টের কাছে আছে এদেশের প্রথম চালু হওয়া ‘ন্যারো গেজ’ রেল, মীর মোশাররফ হোসেন স্মৃতি জাদুঘর, বিখ্যাত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু, লালন শাহের মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, সুচিত্রা সেনের বাড়ি, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন, ঈশ্বরদী ইপিজেড ইত্যাদি।
ফিচার ইমেজ: রাকিব
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।