চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্টের কাছে নন্দনকান বৌদ্ধ মন্দির সড়কে অবস্থিত ডিসি হিল/ডিসির পাহাড়ের বর্তমান নাম নজরুল স্কয়ার (Nazrul Square)। চারপাশে সুউচ্চ গাছগাছালিতে ঘেরা এই পাহাড়ের চূড়ায় চট্টগ্রাম জেলা কমিশনারের সরকারী বাসভবন রয়েছে। ইংরেজ শাসনামলে শুরুর দিকে এই পাহাড়ের চূড়ায় চাকমা রাজার বাড়ি ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এখানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বাংলো তৈরী করা হলে পাহাড়টি ডিসি হিল নামে পরিচিত হয়ে উঠে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রায়শই এখানে অবসর সময় কাটাতে আসতেন। তাঁর এই আগমনকে অম্লান করে রাখতে ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল ডিসি হিলের নাম পরিবর্তন করে নজরুল স্কয়ার রাখা হয়।
সত্তুরের দশকের শেষ ভাগ (১৯৭৮ সাল) থেকে প্রতিবছর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নজরুল স্কয়ারে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। পহেলা বৈশাখ ছাড়াও এখানে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবে মঞ্চনাটক, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে এই নজরুল স্কয়ার।
কিভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রবিন্দু জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে নন্দনকান বৌদ্ধ মন্দির সড়কে নজরুল স্কয়ারের (পুরাতন ডিসি হিল) অবস্থান। চট্টগ্রাম শহরের যেকোন স্থান থেকে বাস, সিএনজি ও রিকশায় চড়ে ডিসি হিল যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম: ঢাকাস্থ সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সৌদিয়া, ইউনিক, টিআর ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী, সোহাগ, এস. আলম, মডার্ন লাইন ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবহনের এসি-নন/এসি বাসে চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। আর ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হতে সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্রগ্রাম মেইলে যাত্রা করতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম শহরের ষ্টেশন রোড, জেএসসি মোড় এবং আগ্রাবাদ এলাকায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল স্টার পার্ক, হোটেল ডায়মন্ড পার্ক, হোটেল মিসখা, হোটেল হিলটন সিটি, এশিয়ান এসআর হোটেল, হোটেল প্যারামাউন্ট, হোটেল সাফিনা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য হোটেল জামানের বেশ সুনাম রয়েছে। আর মেজবানি খাবারের জন্য চকবাজারের মেজবান হাইলে আইয়্যুন রেস্তোরাঁ প্রসিদ্ধ। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরে অসংখ্য ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ছড়িয়ে আছে। এদের মধ্যে বারকোড ক্যাফে, মিলেঞ্জ রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ৮৮, গ্রিডি গাটস, সেভেন ডেইজ, হান্ডির নাম, ধাবা, গলফ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, কোষ্টাল মারমেইড রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ, বোনানজা পোর্ট রেস্টুরেন্ট অন্যতম।
ফিচার ইমেজ: মুহিন রিয়াদ
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।