নড়াইল শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন চিত্রা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী নড়াইল বাঁধা ঘাট (Narail Badha Ghat) বা বাঁধানো ঘাট অবস্থিত। ভারতের গঙ্গা নদীর তীরে একই আদলে আরও একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। নৌপরিবহন ও নদীর তীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নড়াইলের জমিদার এই বাঁধা ঘাট নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের কাছে এটি রাজবাড়ী ঘাট হিসেবে পরিচিত।

গ্রীক স্থাপত্য রীতিতে ডোরিক কলামের উপর নির্মিত ছাউনিটি বাঁধা ঘাঁটের মূল আকর্ষণ। ঘাটের পাশে আছে জমিদারের বাসভবন। বর্তমানে জেলার স্থানীয় বাসীন্দারা বিকেলের অবসর সময় কাটাতে বাঁধা ঘাট ঘুরতে আসেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে চড়ে পাটুরিয়া কিংবা মাওয়া হয়ে নড়াইল জেলায় যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, নবিনগর ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ঈগল পরিবহন, হানিফ  এন্টারপ্রাইজ ও এ কে ট্রাভেলস এর বাসে করে নড়াইল যেতে জনপ্রতি ৪৫০-৫০০ টাকা ভাড়া লাগবে। নড়াইল জেলা শহর পৌঁছে স্থানীয় যানবাহনে বাঁধা ঘাট যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

নড়াইলে রাতে থাকার আবাসিক হোটেলের মধ্যে ডলফিন, সম্রাট, মর্ডান, অরুনিমা রিসোর্ট ও চিত্রা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।

কোথায় খাবেন

নড়াইল শহরের জিরো পয়েন্ট ও লোহাগড়ায় ভাল কিছু খাওয়ার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে।

নড়াইল জেলার দর্শনীয় স্থান

নড়াইলের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে স্বপ্নবীথি পিকনিক স্পট, চিত্রা রিসোর্ট, এস এম সুলতানের বারী, নিরিবিলি পিকনিক স্পট ও অরুণিমা ইকো পার্ক অন্যতম।

ফিচার ইমেজ: প্রীতম বালা

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে নড়াইল বাঁধা ঘাট

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।