নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগর ও ফেনী নদীর মোহনায় নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার (Muchapura/Musapur Closure) মিনি কক্সবাজার বা মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসেবে সুপরিচিত। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে মুছাপুর ক্লোজার অন্যতম প্রিয় গন্তব্য। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদীর বুকে সুর্যাস্থের দৃশ্য, জোয়ার-ভাটা এবং জেলেদের কর্মময় ব্যস্থতা আগত দর্শনার্থীদের বিনোদিত করে। মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় ফেনী নদী পাড় দেখতে সাগর সৈকতের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
ক্লোজারের চরের মধ্যে প্রায় তিন হাজার একর ভূমি জুড়ে রয়েছে সবুজ বৃক্ষের বনাঞ্চল মুছাপুর ফরেস্ট। ১৯৬৯ সালে পরিকল্পিতভাবে চালু করা এই বনাঞ্চলে আছে আকাশমনি, ঝাউ, পিটালী, কেওড়া, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই ইত্যাদি বৃক্ষরাজির সমাহার এবং নানা প্রজাতির দেশীয় পশুপাখির অবাধ বিচরণ। ফলে নদী, সমুদ্র সৈকত এবং জীববৈচিত্রপূর্ণ বনাঞ্চলের মেলবন্ধনে মুছাপুর ক্লোজার ভ্রমণপিপাসুদের পর্যটকদের জন্য একটি আকাঙ্ক্ষিত অবকাশ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার মিরপুর, সায়েদাবাদ ও জিগাতলা থেকে একুশে, বিলাস, শাহী পরিবহনের বাস নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাস বা ট্রেনে নোয়াখালী জেলা শহর পৌঁছে স্থানীয় পরিবহণে চড়ে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজার চলে আসুন। বসুরহাট থেকে সহজেই মুছাপুর ক্লোজার যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
নোয়াখালীতে থাকার জন্য মাঝারি মানের কিছু আবাসিক হোটেল আছে। স্বল্প খরচে রাত্রিযাপনের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেলের সাথে খাবারের হোটেল পাবেন। নোয়াখালী সার্কিট হাউস ছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে আছে – পুবালি হোটেল, রয়েল হোটেল, হোটেল আল মোরশেদ, টাউন হল, হোটেল রাফসান, হোটেল লিটন এবং নোয়াখালী গেষ্ট হাউস।
ফিচার ইমেজ: শফিউল আজম
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।