অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট সৈকত (Motirhat Beach) ইতিমধ্যে পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কমলনগরের মেঘনা নদীর তীরে মতিরহাট সৈকতের অবস্থান। মেঘনার ভাঙন থেকে ভূমি বাঁচাতে তৈরি করা মতিরহাট বাজার রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক ভাবে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত অপুর্ব এক বেলাভূমির জন্ম হয়। বেলাভূমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই একে ‘মতির হাট মেঘনা সৈকত’ ও ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
একপাশে সৈকত এবং অন্যপাশের বেড়িবাঁধ যেন একে অন্যের পরিপূরক। সূর্যাস্থ দেখতে দেখতে বাঁধ ধরে হেঁটে বেড়ালে অনেকটা কুয়াকাটা কিংবা কক্সবাজারের মতই এই বেলাভুমির সৌন্দর্যকে উপভোগ করা যায়। আর বেলাভূমি ধরে হেটে যাওয়া যায় অনেকটা পথ। নদী তীরের বৈচিত্র্যময় দৃশ্য, সুবিশাল নারিকেল ও সুপারি বাগান এবং ইলিশের হাট আপনাকে দেবে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা।
নদীতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে ভাড়ায় নৌকা নিয়ে চলে যেতে পারেন বিশাল মেঘনার বুকে ভাসমান কোন চরে। এছাড়া নদীতে গোসল করতে চাইলেও কোন মানা নেই মতিরহাট সৈকতে।
কিভাবে যাবেন
দেশের যেকোন প্রান্তে আপনার অবস্থান হোক না কেন সেখান থেকে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর ইলিশ স্কয়ার চলে আসুন। এরপর বাস, সিএনজি বা পিকআপে করে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছে অন্য সিএনজি দিয়ে মতিরহাট নদীর পাড়ে যেতে পারবেন। আবার ঝুমুর থেকে সরাসরি মতিরহাট নদী পাড়ে যাওয়ার সিএনজি রিজার্ভ পাওয়া যায়।
রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গ্রীনল্যান্ড এক্সপ্রেস, আলবারাকা, আলম, রয়েল, ইকোনো এবং ঢাকা এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু পরিবহণের বাস লক্ষ্মীপুর যায়। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর (Lakshmipur) যেতে বিভিন্ন বাস অনুযায়ী বাস ভাড়া ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা। ঢাকা থেকে বাসে করে লক্ষ্মীপুর যেতে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে।
কোথায় খাবেন
তরতাজা এবং ফরমালিন মুক্ত ইলিশ, সামুদ্রিক মাছ অথবা খাটিঁ মহিষের দুধ ও দই কেনার জন্য লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট মাছ ঘাট এক অনন্য জায়গা। তাই তাজা ইলিশ মাছ কিংবা মহিষের দুধের তৈরী দই অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। আর স্থানীয় খাবারের হোটেল থেকে প্রয়োজনীয় খাবার খেতে পারবেন।
লক্ষ্মীপুর শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল, ফাস্টফুড শপ এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। খাবার খেতে যেতে পারেন হোটেল রাজমহল, কুটুম বাড়ি, আব্বাস আলী রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদীয়া হোটেল অথবা ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে।
কোথায় থাকবেন
মতিরহাটে থাকার কোন ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি। প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবেন। লক্ষিপুর শহরে অবস্থিত আবাসিক হোটেলের মধ্যে মধ্যে সোনার বাংলা গেস্ট হাউজ, হোটেল আবেহায়াত, হোটেল রোজ কিংবা স্টার গেস্ট হাউজ অন্যতম।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।