মাগুরা জেলার ইছাখাদা গ্রামে হযরত পীর মোকররম আলী শাহ (র:) দরগাহ (Mokarram Ali Shah (R) Dargah) অবস্থিত। মাগুরা শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাছে পূর্ববাহিনী নবগঙ্গা নদীর তীরে দরগার অবস্থান। নদীর পাড়ে সবুজ বৃক্ষের ছায়ায় রয়েছে আধ্যাত্মিক সাধক হযরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) -এর সমাধি। জানা যায়, হন আনুমানিক ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে বিখ্যাত ধর্ম প্রচারক খান জাহান আলী (র:) ১২ জন শিষ্য নিয়ে যশোরের বারবাজারে আগমণ করেন। এরপর খান জাহান আলী (র:) বাগেরহাট গমণ করেন।
হযরত খান জাহান আলী (র:)-এর অন্যতম শিষ্য হযরত পীর মোকররম আলী শাহ (র:) পর্যায়ক্রমে ইসলাম প্রচার করতে করতে বারবাজার হতে ইছাখাদা গ্রামে এসে উপনীত হন। জনশ্রুতি আছে, সাধক পীর হযরত মোকররম আলী শাহ (রহঃ) বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ইছাখাদা গ্রামে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ ও দুইটি পুকুর খনন করেন। সেই ঐতিহাসিক মসজিদের ভগ্নাবশেষ আজো দৃশ্যমান।
বর্তমানে ঐতিহাসিক পুকুর দুইটি খনন করে মাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি লক্ষ্যে সংস্কার কাজ করা হয়েছে এবং এখানে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বছর ৩ মাঘ দরগা প্রাঙ্গণে পবিত্র ইসালে সওয়াব আয়োজন করা হয়। এছাড়া সারা বছর ভক্তদের শুভাগমণে মুখর থাকে মাগুরার ঐতিহ্যের অনুপম নিদর্শন মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগা।
কিভাবে যাবেন
মাগুরা জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে মাগুরা-ঝিনাইদহ বিশ্বরোডে ইছাখাদা গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীরে হযরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, দ্রুতি, ঈগল পরিবহণের এসি, নন-এসি বাসে চড়ে ২৫০ থেকে ৮৫০ টাকা ভাড়ায় মাগুরায় যাওয়া যায়। এছাড়া দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে মাগুরা জেলা শহরে পৌঁছে রিক্সা, ভ্যান, বাসের মত স্থানীয় পরিবহণে মোকাররম আলী শাহ (র:) দরগাহ যেতে পারবেন।
মাগুরা জেলায় কোথায় থাকবেন
মাগুরার আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। এদের মধ্যে হোটেল চলনতিকা এবং ছায়া বিথী উল্লেখযোগ্য। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুমতি সাপেক্ষে থাকা যায়।
ফিচার ইমেজ: msp014
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।