গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে মধুমতি বাওড় (Modhumoti Baor) অবস্থিত। কাশিয়ানি উপজেলার ফুকরা, ধানকোড়া, রাতইল, চাপ্তা, ঘোনাপাড়া, পরানপুর, সুচাইল, তারাইল, পাংখার চর ও চরভাটপাড়া মৌজা জুড়ে মধুমতি বাওরের অবস্থান। সত্তর দশকের শেষের দিকে মধুমতি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ১.৫ কিলোমিটার দূরে দুই দিকে দুইটি বাঁকের সৃষ্টি হয়। যার একটি বাঁকের মুখে পলি জমে উজানের মুখটি বন্ধ হয়ে একটি জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। আর এই জলাশয়টিই মধুমতি বাওড় নামে পরিচিত।

প্রায় ১৬২ হেক্টর আয়তনের মধুমতি বাওড়টি মৌসুমভেদে ভিন্ন ভিন্ন নব রূপে সেজে উঠে। শুষ্ক মৌসুমে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬০০ ফুট প্রস্থের এই বাঁওড়টি বর্ষাকালে প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১২০০ ফুট প্রস্থের বাওড়ে পরিণত হয়। মধুমতি বাঁওড়ের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়া বিকেল বেলা ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে বাঁওড়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য মধুমতি বাওড় স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আর দেশীয় মাছের অভয়ারণ্য হিসেবেও এই বাওড়ের রয়েছে বিশেষ পরিচিতি।

কিভাবে যাবেন

সড়কপথে ঢাকার গাবতলী বা সায়েদাবাদ থেকে পলাশ, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, গোল্ডেন লাইন, গ্রিনলাইন, কমফর্ট, রাজধানী বা বিআরটিসির বাসে সরাসরি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলা পর্যন্ত যাওয়া যায়। কাশিয়ানি থেকে স্থানীয় পরিবহণে পরানপুর হাটের কাছেই মধুমতি বাঁওড়ে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

গোপালগঞ্জ শহরে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল মধুমতি, হোটেল রানা, পলাশ গেস্ট হাউজ, হোটেল শিমুল, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত ও হোটেল জিমির মত বেসরকারি আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

কোথায় খাবেন

কাশিয়ানি উপজেলায় সাধারণ বাঙ্গালী খাবারের বেশ কিছু হোটেল আছে। গোপালগঞ্জ শহরে বাঙ্গালী, চাইনিজ ও ফাস্টফুড খাবার পাওয়া যায়। শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের কাছে লেক ভিউ ক্যাফে, ভূতের বাড়ি, বারবিকিউ টুনাইট ও এফএনএফ রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য।

গোপালগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান

গোপালগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, বিট রুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সিবাড়ি, শেখ রাসেল শিশু পার্ক ও লাল শাপলার বিল উল্লেখযোগ্য।

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে মধুমতি বাওড়

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।