মির্জাপুর শাহী মসজিদ বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। মির্জাপুর শাহী মসজিদটি প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো। ঢাকায় অবস্থিত হাইকোর্ট মসজিদের নকশার সাথে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নকশার অনেক মিল চোখে পড়ে। আয়তকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। মসজিদের ছাদে পাশাপাশি ৩টি গম্বুজ এবং চারকোণে ৪ টি চিকন মিনার আছে। অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য মসজিদের সামনের দেয়ালে আছে ৩ টি দরজা। প্রত্যেক দেয়াল ও দরজায় বিভিন্ন কারুকার্যময় নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নকশায় স্থান পেয়েছে টেরাকোটা প্লাক, ফুল ও লতাপাতার প্রতিরুপ। মসজিদের রয়েছে ফরাসি ভাষায় লেখা একটি শিলালিপি, যা দেখে মোঘল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে মসজিদটি তৈরী বলে মনে করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মির্জাপুর শাহী মসজিদের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি আটোয়ারী বাস ষ্ট্যান্ড যাবার জন্য বিভিন্ন ডে-নাইট বাস সার্ভিস চালু আছে। আটোয়ারী থেকে মির্জাপুরের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। আটোয়ারী থেকে বাসে করে মির্জাপুর পৌছে রিক্সা কিংবা ভ্যানে এক কিলোমিটার পথ পেরুলেই দেখতে পাবেন ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর শাহী মসজিদ।
ঢাকা হতে ট্রেনে করে মির্জাপুর শাহী মসজিদ দেখতে চাইলে প্রথমে দিনাজপুর আসতে হবে। দিনাজপুর থেকে বাস, রিক্সা কিংবা ভ্যান দিয়ে আটোয়ারী চলে যান। আটোয়ারী থেকে মির্জাপুর শাহী মসজিদ যেতে উপরের বর্ণিত উপায় অনুসরণ করুন।
কোথায় থাকবেন
রাত্রি যাপনের জন্য পঞ্চগড়ে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এই সব হোটেলের ধরন অনুযায়ী ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
যদি ট্রেনে যাত্রা করেন তবে দিনাজপুরে রুস্তম কিংবা ফাইভ স্টার হোটেলের গরুর ভুনা মাংস মিস করা ঠিক হবে না। এছাড়া দিলশাদ হোটেল আর রোলেক্স ফুডের খাবার চেখে দেখতে পারেন। পঞ্চগড় শহরে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল পাবেন তবে মৌচাক হোটেলের খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
পঞ্চগড় জেলায় আরও কিছু দর্শনীয় স্থান যা দেখতে পারেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো হল:
- মহারাজার দিঘী
- বার আউলিয়া মাজার শরীফ
- ভিতরগড় দুর্গনগরী
- গোলকধাম মন্দির
- বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট
- তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো
- পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম