মানিকগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত মত্ত মঠ (Matta Moth) একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন। জানা যায়, প্রায় আড়াইশত বছর পূর্বে পটল গ্রামে হেমসেন নামে একজন অত্যাচারী জমিদার তাঁর পিতার শেষকৃত্য স্থলে এ মঠ নির্মাণ করেন। নিটল দিঘির পাড়ে ১৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মঠের উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট উঁচু। মত্তের মঠ নির্মাণের জন্য ইরাক থেকে কারিগর আনা হয়েছিল।

১৯৬৫ সালের দিকে একদল আমেরিকান পর্যটক মত্ত মঠ সংস্কারের আগ্রহ প্রকাশ করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী হিন্দুদের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২ সালে একদল চীনা পর্যটক মঠের কারুকার্যপূর্ণ নির্মাণশৈলী দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল হতে নীলাচল, পদ্মা লাইন, সেলফি প্রভৃতি পরিবহণের বাস মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে রিকশা/সিএনজি দিয়ে মত্ত মঠ দেখতে যেতে পারবেন।

মানিকগঞ্জে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা

রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় মত্ত মঠ দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন। তবে আশেপাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। মানিকগঞ্জ শহরে থাকার মত কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। আর খাবারের জন্য মানিকগঞ্জ সাধারণ ও মাঝারী মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। অবশ্যই সুযোগ থাকলে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের বিখ্যাত নিজামের মিষ্টি খেয়ে দেখুন।

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে মত্ত মঠ

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।