গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার উনশিয়া গ্রামে গণজাগরণের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক বাড়ি (Kobi Sukanta Bhattacharya’s House) অবস্থিত। বিপ্লবী তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী। কবি সুকান্ত ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার মহিম হালদার স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নিবারণ ভট্টাচার্য মাদারীপুরের ডাক বিভাগে চাকরি করতেন। ১৯৪৬ সালে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বাবা চাকরি ছেড়ে কলকাতায় চলে যাওয়ার এ বাড়িটি মানব শূন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বংশের সর্বশেষ পুরুষ দেবেন ভট্টাচার্য সুকান্তের পিতৃব্য ও পিতার ফেলে যাওয়া এই বাড়িটি কিছু দিন আগলে রাখার চেষ্টা করলেও তা অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যায়। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে বাড়িটি সংরক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া হয়। ২০১০ সালে প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক বাড়ি সংস্কার করে কবি সুকান্ত পাবলিক লাইব্রেরি কাম অডিটোরিয়াম গড়ে তোলা হয়।
কবির গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পৈত্রিক বাড়িতে রয়েছে কবি সুকান্তের বিশেষ মনুমেন্ট ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ফুল গাছ। লাইব্রেরীর বিভিন্ন শেলফে আছে কবির লেখা বিভিন্ন বই, পাঠকদের বসার জায়গা এবং জলরঙে আঁকা কবির পোর্ট্রেট। সাহিত্য প্রেমীদের কাছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক বাড়ি ও পাঠাগার একটি অন্যতম আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
সড়কপথে ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে পলাশ, ইমাদ, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, গোল্ডেন লাইন, গ্রিনলাইন, কমফর্ট, রাজধানী ও বিআরটিসির বাসে গোপালগঞ্জ যাওয়া যায়। গোপালগঞ্জ থেকে লোকাল বাসে কোটালিপাড়া উপজেলার এসে অন্য স্থানীয় যানবাহনে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
গোপালগঞ্জ শহরে হোটেল শিমুল, হোটেল মধুমতি, হোটেল রানা, পলাশ গেস্ট হাউজ, হোটেল সোহাগ, হোটেল রিফাত ও হোটেল জিমি প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন
গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের কাছে লেক ভিউ ক্যাফে, ভুতের বাড়ি, বারবিকিউ টুনাইট বা এফএনএফ রেস্টুরেন্টে ভালমানের সাধারণ বাঙ্গালী খাবার, চাইনিজ ও ফাস্টফুড পাওয়া যায়।
গোপালগঞ্জ জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
গোপালগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ, বিট রুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সিবাড়ি, শেখ রাসেল শিশুপার্ক, জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ি, উলপুর জমিদার বাড়ি ও লাল শাপলার বিল উল্লেখযোগ্য।
ফিচার ইমেজ: প্রদীপ কুমার দাস
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।