সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালী মন্দির (Shaktipeeth Shri Jeshoreshwari Kali Temple) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান। যশোরেশ্বরী শব্দের অর্থ যশোরের দেবী। সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগের পর মহাদেব মৃত দেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। বিষ্ণু দেব তাঁর সুদর্শন চক্র কতৃক সতীর দেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহ খণ্ড গুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সতী মাতার দেহ খণ্ড যে সকল স্থানে পতিত হয়েছে সেসব স্থানকে শক্তিপীঠ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যশোরেশ্বরী কালী মন্দির তেমনি একটি শক্তিপীঠ।
ধারণা করা হয়, আনারি নামের এক ব্রাহ্মণ যশোরেশ্বরী কালী মন্দির এবং শক্তিপীঠের ১০০টি দরজা নির্মাণ করেন। যদিও মন্দিরের নির্মাণকাল সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায় যায়নি। পরবর্তীতে লক্ষ্মণ সেন ও মহারাজা প্রতাপাদিত্য যশোরেশ্বরী কালী মন্দির সংস্কার করেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মণ সেন মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি মূল মন্দিরের কাছে নাটমন্দির নামে একটি বৃহৎ মঞ্চমণ্ডপ নির্মাণ করেন আর মহারাজা প্রতাপাদিত্য তৈরী করেন কালী মন্দির।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী, নবীনগর, শ্যামলী, কল্যাণপুর এবং সাভার থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এসি/নন-এসি বাস ছেড়ে যায়। সাতক্ষীরাগামী বাসে মধ্যে এসপি গোল্ডেন লাইন, এ কে ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন, মামুন এন্টারপ্রাইজ, ঈগল পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস এবং শ্যামলী পরিবহন অন্যতম। বাসের মানভেদে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৬৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাতক্ষীরা থেকে স্থানীয় পরিবহণে শ্যামনগর উপজেলায় এসে সহজেই যশোরেশ্বরী কালী মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
সাতক্ষীরায় অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল সংগ্রাম, হোটেল সম্রাট, হোটেল সীমান্ত, মোজাফ্ফর গার্ডেন, হোটেল মোহনা এবং হোটেল উত্তরা অন্যতম।
কোথায় খাবেন
সাতক্ষীরা জেলা আম, কুল, ওল, মাছ এবং সুন্দরবনের খাঁটি মধুর জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়া সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরীর সন্দেশের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন।
ফিচার ইমেজ: অজিত শাহী
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।