নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রীন ভ্যালী পার্ক (Green Valley Park) একটি চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র। প্রায় ১২৩ বিঘা জায়গার উপর নির্মিত গ্রীন ভ্যালী পার্কটিতে সকল বয়সী দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইডের মধ্যে আছে মিনি ট্রেন, বুলেট ট্রেন, নাগরদোলা, ম্যারিগো রাউন্ড, পাইরেট শীপ, হানি সুইং, স্পীডবোট, প্যাডেল বোট প্রভৃতি। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত মনোরম পরিবেশের এই পার্কের প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে একটি নয়নাভিরাম লেক রয়েছে।
গ্রীন ভ্যালী পার্কের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার মধ্যে আছে শ্যুটিং স্পট, পিকনিক স্পট, এ্যাডভেঞ্চার রাইডস, কনসার্ট এন্ড প্লে গ্রাউন্ড, সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, ডেকোরেটর, কার পার্কিং, ক্যাফেটেরিয়া, শপ, সভা-সেমিনারের স্থান এবং আবাসিক ব্যবস্থা।
প্রবেশ টিকেটের মূল্য ও সময়সূচী
গ্রীন ভ্যালী পার্কের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে। (ঋতু পরিবর্তনের সাথে পার্ক খোলার সময় পরিবর্তিত হয়)।
ওয়াটার পার্ক টিকেট = ৩০০ টাকা (১২টা থেকে ৪টা)
ওয়াটার পার্ক লকার ফি = ৫০-৫০০ টাকা।
সর্বমোট ১০ টি রাইড রয়েছে, প্রতিটি রাইডের টিকেট ৩০-৫০ টাকা।
গাড়ি পার্কিং ফি = ১০-৩০০ টাকা।
(কোন প্রকার খাবার সাথে নিয়ে যাওয়া যায় না)
যোগাযোগ
মোবাইল: ০১৭১২-১৫১৩৮৮, ০১৭১২-০৪০৫৭৩
ফেইসবুক: https://www.facebook.com/Greenvalleyparkltdlalpur
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী-বাঘা রুটে চলাচলকারী বাসে বাঘা নামক স্থানে নেমে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে লালপুর যাওয়া যায়। রাজশাহী থেকেও চারঘাট-বাঘাগামী বাসে বাঘা যেতে পারবেন। এছাড়া নাটোর বাইপাস হতেও লালপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।
আর ট্রেনে যেতে চাইলে আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশনে নামতে হবে। আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন থেকে গ্রীন ভ্যালী পার্কের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন
নাটোরে মোটামুটি মানের কতগুলো আবাসিক হোটেল ও বোডিং রয়েছে। হোটেল ভি.আই.পি ও হোটেল রুখসানায় সিংগেল কিংবা ডাবল কেবিনের ভাড়া ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন সার্কিট হাউস নাটোর, নাটোর সদর ডাক বাংলো, হোটেল প্রিন্স, নাটোর বোর্ডিং, হোটেল রাজ কিংবা হোটেল মিল্লাতে।
কোথায় খাবেন
নাটোরের বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল/রেস্টুরেন্টে প্রয়োজনীয় খাবার খেতে পারবেন। কম খরচে খাওয়ার জন্য ইসলামিয়া পঁচুর হোটেল ও রেলস্টেশনের কাছে নয়ন হোটেলের খাবারের বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়া নাটোর ভ্রমনকালে চলনবিল এবং রানী ভবানী সুস্বাদু মাছ খাওয়ার সুযোগ মিস করা মোটেও ঠিক হবে না। সেই সাথে নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা খেয়ে নিয়েও আসতে পারেন।
ফিচার ইমেজ: মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।