পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাংগা ইউনিয়নে অবস্থিত অষ্টাদশ শতকের চমৎকার একটি নিদর্শনের নাম গোলকধাম মন্দির (Golokdham Temple)। ১৮৪৬ সালে গোলককৃষ্ণ গোস্বামীর স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত প্রাচীন এই মন্দিরের স্থাপত্য নজরে পড়ার মত। চারপাশে গাছ-গাছালী দিয়ে ঘেরা গ্রীক পদ্ধতিতে নির্মিত ছয়কোণাকৃতির গোলকধাম মন্দির একটু উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত মন্দিরের অভ্যন্তরে একটি কক্ষ রয়েছে। মন্দিরে প্রতিদিন অসংখ্য সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজা আর্চনা করতে আসেন। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে থাকা এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের অবকাঠামো অনেকটাই ধ্বংসের পথে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার শ্যামলী, কলেজ গেইট ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাবিল, হানিফ এবং বাবলু এন্টারপ্রাইজের বাসে পঞ্চগড় যেতে পারবেন। এছাড়া পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েও ঢাকা থেকে সরাসরি পঞ্চগড় যাওয়া যায়। পঞ্চগড় থেকে লোকাল বাসে দেবীগঞ্জ হয়ে রিক্সা/ইজিবাইক নিয়ে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গোলকধাম মন্দির পরিদর্শনে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
পঞ্চগড় শহরে রাত্রিযাপনের জন্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল মৌচাক, হোটেল রাজ নগর, হিলটন বোর্ডিং, রোকখানা বোর্ডিং, হোটেল প্রীতম, হোটেল এইচ কে প্যালেস ও হোটেল ইসলাম উল্লেখযোগ্য।
কোথায় খাবেন
দেবীগঞ্জের বাবুপাড়ায় বেশকিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড় শহরে হোটেল করোটিয়া, হোটেল মৌচাক, হোটেল নিরিবিলি, হোটেল হাইওয়ে ও হোটেল হামজার মতো ভালমানের খাবার হোটেল খুঁজে পাবেন।
পঞ্চগড় জেলার দর্শনীয় স্থান
পঞ্চগড় জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্ছনজঙ্খা, চা বাগান ও রকস মিউজিয়াম অন্যতম।
ফিচার ইমেজ: রাকিব হাসান