ফরিদপুর সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গেরদা গ্রামে অবস্থিত গেরদা মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে আরবি ভাষায় লেখা পাথরের এক বিশেষ ফলক রয়েছে, এই ফলকটিই গেরদা ফলক (Gerda Folok) হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হয়, ১০১৩ হিজরি বা ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দে লেখা মূলত এই ফলককে কেন্দ্র করে গেরদা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর ফলকটি নির্মাণ করা হয়েছে শাহ্ আলী বাগদাদি নির্মিত প্রাচীন এক মসজিদের ভগ্নাংশের উপর।
গেরদা ফলকটির দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি ও প্রস্থ ৩৬ ইঞ্চি। প্রাচীন এই মসজিদে এখনো মূল্যবান কিছু নিদর্শন অক্ষত রয়েছে। যার মধ্যে শাহ্ আলী বাগদাদি ব্যবহৃত কাঠের থালা, তারবান, জায়নামাজ, মাছের কাঁটা দিইয়ে তৈরি তসবি, হযরত আব্দুল কাদের জিলানির ব্যবহৃত জুব্বা, হযরত আলী (রাঃ) এর গোঁফ মোবারক, হযরত হাসান (রহঃ) এর চুল মোবারক, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর দাড়ি মোবারক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী থেকে আজমেরি, আনন্দ পরিবহণ, সাউদিয়া, সূর্যমুখী ও বিকাশ পরিবহণের বাস ঢাকা-ফরিদপুর রোডে চলাচল করে। ফরিদপুর জেলা শহর থেকে স্থানীয় যানবাহনে গেরদা মসজিদ যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
ফরিদপুর শহরে হোটেল র্যাফেলস, হোটেল লাক্সারি, হোটেল পদ্মা, হোটেল পার্ক প্যালেস, হোটেল শ্যামলী ও হোটেল জোনাকি প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন
ফরিদপুর শহরের মধ্যে রেইন ফরেস্ট ক্যাফে, টেরাকোটা, ওয়েসিস, পানকৌড়ি রেস্টুরেন্ট, সেরেনে গার্ডেন, সুপার হোটেলের মত কয়েকটি ভালমানের খাবার হোটেল রয়েছে।
ফরিদপুর জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
ফরিদপুরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মধুমতি নদী, মথুরাপুর দেউল, কানাইপুর জমিদার বাড়ি, পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্ক, পাতরাইল মসজিদ ও পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।