পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামে স্থানীয় বাসীন্দাদের শতবছরের গ্রাম বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্যের এক অন্যতম বহিঃপ্রকাশ দুবলিয়া মেলা (Dublia Fair)। যা দুবলিয়াবাসীর বিনোদনের প্রধান এক উৎস। ইতিহাস থেকে জানা যায়, বর্ষাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ দুবলিয়াতে যাতায়াতের মাধ্যম হিসাবে নৌকার প্রচলন ছিল। আর তখন গ্রামীণ বিনোদনের অন্যতম উৎস নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করেই মূলত এই মেলার জন্ম হয়।
বর্তমানে শিল্প ও বানিজ্য মেলা হিসেবে পরিচিত দুবলিয়া মেলায় বিনোদনের নানা আয়োজনের পসরা সাজানো থাকে। প্রতি বছর দুর্গা পূজার সময় দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজী জসীম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। দুবলিয়া মেলায় দৈনন্দিন বিভিন্ন জিনিসসহ পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, শীতের কাপড়-চোপড়, গৃহস্থালি আসবাপত্র ও ইলেক্ট্রনিকস জিনিসসহ নানা ধরণের পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়।
এছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য আছে ট্রেন, নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, নৌকা ও দোলনা সহ বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা। পাবনা ও আশেপাশে বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এই ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া মেলায়।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার কল্যাণপুর, আব্দুল্লাপুর ও গাবতলী থেকে সরকার ট্র্যাভেলস, পাবনা এক্সপ্রেস, আল হামরা পরিবহন, শাহজাদপুর ট্র্যাভেলস এবং শ্যামলী পরিবহনের বাসে পাবনা যেতে পারবেন। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ৩৪০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী আন্তঃনগর ট্রেনে ঈশ্বরদী জংশন নেমে সেখান থেকে বাস বা সিএনজিতে পাবনা জেলা সদরে যাওয়া যায়। পাবনা জেলা সদর থেকে সিএনজি ও রিকশার মত স্থানীয় পরিবহণে চড়ে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুবলিয়া গ্রামে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
পাবনা জেলা সদরে হোটেল প্রবাসী ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল মুন, লাকি হোটেল, হোটেল রোহান, হোটেল পার্ক বোর্ডিং ও হোটেল ছায়ানীড় প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেন
চাইনিজ, বাংলা ও ফাস্টফুড খাবারের জন্য পাবনা জেলাতে বেশ ভালো মানের খাবার হোটেল ও রেস্তোরা পাবেন।
পাবনার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
পাবনা জেলার গাজনার বিল, তারাশ রাজবাড়ি, জোর বাংলা মন্দির ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম।
ফিচার ইমেজ: উইকিপিডিয়া
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।