গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিণমারী গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ড্রিমল্যান্ড এডুকেশনাল পার্ক (Dreamland Educational Park)। ১৯৯৫ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রশিদুন্নবী চাঁদ প্রায় ১৭ একর জমিতে গাইবান্ধা জেলা শহরের অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ ড্রিমল্যান্ড এডুকেশনাল পার্ক-এ আছে দেশি-বিদেশি বৃক্ষ, ফুলের বাগান, ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন স্থাপনা।
ড্রিমল্যান্ড পার্কের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে সরু রাস্তার দুই পাশজুড়ে শোভাবর্ধণ করে থাকা নানা রকম দেশি-বিদেশি ফুলের গাছ। দর্শনার্থীদের বসে বিশ্রাম নেয়ার সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বেঞ্চ ও শেড নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রিমল্যান্ড এডুকেশনাল পার্কের মাঝখানে গাছগাছালিতে ঘেরা শান বাঁধানো একটি সুন্দর পুকুর রয়েছে। আর বৃক্ষের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে ২৫৫ জন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও গুণীজনদের ভাস্কর্য। এছাড়া এখানে আরও আছে বাংলাদেশের বিশাল মানচিত্র, পলাশী যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র, জীবজন্তুর ভাস্কর্য এবং নানান রকম খেলাধুলার ব্যবস্থা।
প্রবেশ মূল্য : ড্রিমল্যান্ড এডুকেশনাল পার্কে প্রবেশ করতে ১০ টাকার টিকেট কাটতে হয়।
যোগাযোগ
রংপুর বগুড়া রোড, নবী নগর, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা
মোবাইল: ০১৭১২-৮৭৭১৯৮
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে গাইবান্ধা (Gaibandha) জেলায় যাওয়ার বেশকিছু এসি/নন-এসি বাস চলাচল করে। এদের মধ্যে শ্যামলী পরিবহন, আল হামরা পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস এবং অরিন ট্রাভেলস উল্লেখযোগ্য। জনপ্রতি বাস ভাড়া বাসের ধরণ অনুযায়ী ৬০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস এবং লালমনিরহাট এক্সপ্রেস নামে দুইটি ট্রেন সকাল ০৯ঃ১০ এবং রাত ০৯ঃ৪৫ এ যাত্রা করে।
গাইবান্ধা জেলা সদর থেকে পলাশবাড়ী উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। গাইবান্ধা হতে বাস বা সিএনজিতে চড়ে সহজেই পলাশবাড়ী যাওয়া যায়।
থাকা-খাওয়া
ড্রিমল্যান্ড পার্কে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে আপনার পছন্দের খাবার খেতে পারবেন। এছাড়া পলাশবাড়ীতেও খাবারের জন্য আরও কিছু বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেন
ড্রিমল্যান্ড এডুকেশনাল পার্কে রাতে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। পলাশবাড়ীতে রাত যাপন করার জন্য ‘শিল্পী’ নামে মোটামুটি মানের একটি আবাসিক হোটেল আছে। আর গাইবান্ধায় রাত্রিযাপনের জন্যে রয়েছে গাইবান্ধা সার্কিট হাউজ, এসকেএস ইন হোটেল ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র। এক্ষেত্রে কলেজ রোডে অবস্থিত এসকেএস ইন হচ্ছে সবচেয়ে সঠিক নির্বাচন। এখানে সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী প্রতিটি রুমের ভাড়া ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।
ফিচার ইমেজ : Ariful islam
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।