নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ড্রিম হলিডে পার্ক (Dream Holiday Park) গড়ে উঠেছে। প্রায় ৬০ একর জমির ওপর নির্মিত পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার বাম্পার কার, রাইডার ট্রেন, বাইসাইকেল, রকিং বর্স, স্পিডবোট, সোয়ানবোট, জেড ফাইটার, নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল রয়েছে। এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট,কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ এবং কৃত্রিম পর্বত তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও এই পার্কে ওয়াটার পুল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়।

ড্রিম হলিডে পার্কে আসা দর্শনাথীদের কথা ভেবে এখানে রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে চাইনিজ, বাংলা খাবারসহ চটপটি, ফুচকা ও আইসক্রিম পাওয়া যায়। এছাড়াও ড্রিম হলিডে পার্কে আছে নজরকারা জামদানির সংগ্রহ এবং বেড শিট, থ্রি পিস ও অন্যান্য জিনিসপত্র।

দর্শনার্থীদের বসার জন্য এই পার্কে অনেক খুপড়ি ঘর রয়েছে, আর বিনোদনের কথা ভেবে সঙ্গীতের নানা ধরনের উপকরণ রাখা হয়েছে। যেকেউ পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমন করতে পারবেন। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে। চাইলে পিকনিকের স্পট হিসাবে ড্রিম হলিডে পার্কটি বেছে নিতে পারেন। এখানে মায়াবী ও মধুরিমা নামে দুইটি পিকনিক স্পট রয়েছে। এছাড়া দুইটি এসি রুমের ১টি বাংলো পিকনিকের জন্য বরাদ্ধ থাকে। পরিবার নিয়ে এখানে রাত্রি যাপন করতে চাইলে পার্কের নিজস্ব বিলাসবহুল কটেজ থেকে পছন্দের কটেজ বেছে নিতে পারবেন।

কীভাবে যাবেন

বাসে করে ড্রিম হলিডে পার্ক : ঢাকার মহাখালী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর এবং গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন বাস সার্ভিস নরসিংদী যাওয়া আসা করে। বনানি হতে পিপিএল সুপার এবং গুলিস্থান হতে মেঘালয় লাক্সারি বাসে ড্রিম হলিডে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে নামতে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া লাগে।

ট্রেনে যাবার উপায় : কমলাপুর অথবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর কিংবা মহানগর ট্রেনে করে নরসিংদী যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী যেকোনো লোকাল ট্রেনে করেও নরসিংদী আসা যায়। নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে বাস কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে ড্রিম হলিডে পার্কে যেতে হবে। আর লোকাল ট্রেনে ভ্রমণ করলে নরসিংদী স্টেশন ছাড়াও ঘোড়াশাল স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাসে করে পার্কে চলে যেতে পারেন।

এছাড়া ঢাকা টু সিলেট মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেটের যেকোনো বাসে করে সরাসরি পার্কের সামনে নামতে পারবেন। কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে নরসিংদী যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।

প্রবেশ টিকেটের মূল্য

প্রবেশ টিকেটের মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জনপ্রতি ৩০০ টাকা ও শিশুদের জন্যে ২০০ টাকা, সাথে থাকবে সাফারি পার্ক এর প্রবেশ অধিকার। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের প্রবেশ টিকেটের মূল্য ৩০০ টাকা। অনেক ধরণের রাইড আছে, একেক রাইড ফি একেক রকম। বিভিন্ন রাইড চড়তে জনপ্রতি ৫০ থেকে ৪০০ টাকা লাগবে।

কাপল ও ফ্যামিলি প্যাকেজ : এছাড়া বিশ রকমের রাইড নিয়ে (ওয়াটার পার্ক ও সাফারি পার্ক সহ) আছে কাপল ও ফ্যামিলি প্যাকেজ। ভ্যাট সহ কাপল প্যাকেজের মূল্য ২,৫০০ টাকা এবং ৪ জনের জন্যে ফ্যামিলি প্যাকেজ মূল্য ৪,৫০০ টাকা।

পিকনিক প্যাকেজ : ড্রিম হলিডে পার্কে ১০০ থেকে ১০০০ জনের পিকনিক স্পট ভাড়া নেওয়া যাবে। বিভিন্ন সুবিধা ও পিকনিক স্পট এবং কতজন তার উপর নির্ভর করে পিকনিক স্পটের ভাড়া ৫০,০০০ থেকে ৩,৪৫,০০০ টাকা। পিকনিক স্পট ভাড়া করার জন্যে নিচের যোগাযোগ নাম্বারে কথা বলে আরও বিস্তারিত জেনে নিন।

কোথায় থাকবেন

ড্রিম হলিডেতে চারটি বিলাসবহুল কটেজ রয়েছে চাইলে সেগুলিতে রাত কাটাতে পারেন। আপনার পরিবার নিয়ে দিবা রাত্রি নামের ডুপ্লেক্স কটেজে থাকার জন্যে পুরো কটেজ ভাড়া ১০,০০০ টাকা, প্রতি ইউনিট ভাড়া ৫০০০ টাকা। অথবা নরসিংদী শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল থেকে একটু যাচাই করে নিজের জন্য উপযোগী আবাসিক হোটেল বেছে নিতে পারেন।

যোগাযোগ

মোবাইল : 01711-453429, 01762-696302, 01762-696303
ইমেইল : dreamholidayltd@gmail.com
ওয়েবসাইট : dreamholidayparkbd.com
ফেসবুক পেইজ : fb.com/dreamholidaypark

নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান

নরসিংদী (Narsingdi) জেলার আরও কিছু পর্যটন স্থান ও দর্শনীয় জায়গা যেখানে ভ্রমণ করতে পারেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, উয়ারী বটেশ্বর, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, বালাপুর জমিদার বাড়ি, আশ্রাবপুর মসজিদ, গিরিশ চন্দ্র সেনের ভিটা, জমিদার লক্ষন সাহার বাড়ী, আশরিনগর মিনি পার্ক ইত্যাদি।

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে ড্রিম হলিডে পার্ক

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।