হাওরের কথা আসলেই আমাদের মনে সুনামগঞ্জ, সিলেট কিংবা কিশোরগঞ্জের ছবি ভেসে উঠে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সৌরভ বিলিয়ে থাকা হাওর সম্পর্কে অনেকেরই তেমন জানাশুনা নেই। ধরন্তি হাওর (Dhoronti Haor) তেমনি এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধারণকারী জলাভূমির নাম। নৈসর্গিক ধরন্তি হাওরের পূর্ব দিকে তিতাস নদী এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী সহ ছোট বড় আরও বেশকিছু খাল-বিল রয়েছে।
হাওরের উপর দিয়ে চলে গেছে সরাইল-নাসিরনগর সড়ক। বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত যখন হাওর অথৈ জলে ভরে থাকে তখন এই সড়কের দুইপাশে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করে প্রকৃতিকে উপভোগ করেন। হাওরের বুকে অপূর্ব সূর্যাস্থের দৃশ্য দেখে অনেকে আবার ধরন্তিকে মিনি কক্সবাজার নামে অভিহিত করেন। আগত দর্শনার্থীদের হাওরে জলে ঘুরে বেড়ানোর সুবিধার জন্য এখানে ভাড়ায় চালিত ছোট ডিঙ্গি নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবস্থা রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (Brahmanbaria) সরাইল উপজেলায় অবস্থিত ধরন্তি হাওরে যেতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার থেকে ধরন্তি হাওরের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। ঢাকার সায়েদাবাদ কিংবা যাত্রাবাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী বাসে সরাইল বিশ্বরোড যাওয়া যায়। সরাইল বিশ্বরোড থেকে ধরন্তি যাওয়া অটোরিক্সা ও সিএনজি রয়েছে।
এছাড়া ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে সিএনজিতে চড়ে সরাইল বিশ্বরোড যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
ঢাকা হতে চাইলে দিনে গিয়ে রাতের মধ্যে ধরন্তি হাওর দেখে ফিরে আসতে পারবেন। প্রয়োজনে রাত্রিযাপনের জন্য ভালো মানের হোটেলের সন্ধান পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসতে হবে। এছাড়া নাসিরনগরে ডাক বাংলোতেও রাতে থাকার সুযোগ রয়েছে। আর সরাইল বিশ্বরোডে সাধারণ মানের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
ফিচার ইমেজ : লোনলি ট্রাভেলার
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।