ধনবাড়ি নবাব মঞ্জিল (Dhanbari Nawab Manzil) বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রিসোর্ট, যা স্থানীয়ভাবে নবাব বাড়ি বা ধনবাড়ি নবাব প্যালেস নামে পরিচিত। নবাব আলী চৌধুরীর বর্তমান উত্তরসূরিরা টাঙ্গাইল জেলার এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির দেখাশুনা করছেন। পর্যটকদের থাকার জন্য এখানে কয়েকটি কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। নবাব আলী চৌধুরীর পরিবারের উত্তরসূরী নবাব হাসান আলী চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প মন্ত্রী ছিলেন এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। নবাব হাসান আলী চৌধুরীর কন্যা সৈয়দা আশেক আকবর ১৯৮১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ধনবাড়ি নবাব মঞ্জিল বাংলাদেশের অন্যতম জমিদার বাড়ি যেখানে উত্তরাধিকারী মালিকপক্ষের মাধ্যমে যথাযথভাবে যত্ন ও রক্ষনাবেক্ষন করা হচ্ছে। ১৯১৯ সালে তৎকালীন ইংরেজ লর্ড রোনাল্ডশ্যকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নবাব আলী চৌধুরী এই জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ৩০ টি সুসজ্জিত হাতি বহরের মাধ্যমে নবাব রোনাল্ডশ্যকে স্বাগত জানান।
ধনবাড়ি নবাব মঞ্জিলে প্রবেশ করতে ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়, যা নবাব মঞ্জিলে প্রবেশ পরবর্তী দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। বর্তমানে নবাব মনজিল, প্যালেস, ভিলা ও কটেজগুলো নিয়ে “নওয়াব আলী হাসান আলী রয়েল রিসোর্ট” হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ধনবাড়ি নবাব মঞ্জিল কিভাবে যাবেন
ঢাকার মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে টাঙ্গাইলগামী বিনিময় পরিবহন বাস ধনবাড়িতে ঠিক রাজবাড়ির সামনেই থামে। তবে লোকাল সার্ভিস হওয়ার কারণে ধনবাড়ি পৌছাঁতে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া মহাখালি থেকে নিরালা পরিবহণের বাসে ১৬০ টাকা ভাড়ায় টাঙ্গাইলে গিয়ে সিএনজি বা অটোরিকশা করে রাজবাড়িতে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
চাইলে থাকতে পারবেন এই রিসোর্টেই বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজে। এছাড়া টাঙ্গাইলে রাত্রি যাপনের জন্য বেশকিছু হোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল: পলাশ হাউজ/ নাইট গন্ধা রেসিডেনসিয়াল হোটেল, আল ফয়সাল হোটেল রেসিডেনসিয়াল, হোটেল সাগর রেসিডেনসিয়াল, আফরিন হোটেল, এস এস রেস্ট হাউজ, পল্লী বিদ্যুৎ রেস্ট হাউজ, এলজিইডি রেস্ট হাউজ(সরকারি), সুগন্ধা হোটেল, নিরালা হোটেল ইত্যাদি।