১৯৩৮ সালে প্রায় ৩০০ বিঘা জমির উপর চুয়াডাঙ্গা (Chuadanga) জেলায় এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম চিনির কল ‘কেরু এন্ড কোং’ স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে কেরু এন্ড কোং-কে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। প্রায় ৮০ বছরের পুরানো কেরু এন্ড কোং-এ চিনি ছাড়াও দেশি এবং বিলেতি মদ উৎপাদন করা হয়। এছাড়া কেরু এন্ড কোং-এর অধীনে একটি ডিস্টিলারি এবং ফার্মাসিউটিকাল ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে অবশিষ্ট চিনিকলগুলোর মধ্যে একমাত্র কেরু এ্যান্ড কোং (Carew & Co Bangladesh Ltd) আজো কোন লোকশানের মুখ দেখেনি। দর্শনায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেখতে অনুমতির প্রয়োজন হয়, আর ডিস্টিলারি সেকশনে ঢুকতে গেলে তো সরাসরি এমডি’র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিনোদনের সুবিধার্থে এখানে একটি পিকনিক স্পট এবং গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে রয়েল, পূর্বাশা, জে আর পরিবহন, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স, পর্যটক পরিবহন এবং আনন্দ পরিবহন ইত্যাদি বাস চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ঢাকা হতে চুয়াডাঙ্গার জনপ্রতি বাস ভাড়া ৫৫০ টাকা।
এছাড়া ঢাকার কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশান হতে খুলনাগামী চিত্রা, সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে চুয়াডাঙ্গা যাওয়া যায়। শ্রেণীভেদে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত জনপ্রতি ট্রেনের টিকেটের মূল্য ৩৯০ থেকে ১৩৯০ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা শহর হতে বাস কিংবা সিএনজি দিয়ে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে সেখান থেকে অটো কিংবা পাখি ভ্যানে দর্শনা কেরু এন্ড কোং যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। এসব হোটেলে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় রাতে থাকতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে – হোটেল অবকাশ (0761-62288), হোটেল আল মেরাজ (0761-62383), অন্তুরাজ আবাসিক হোটেল (0761-62702), হোটেল প্রিন্স (0761-62378)।
কোথায় খাবেন
চুয়াডাঙ্গা আসলে অবশ্যই চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলগেটের পাশে অবস্থিত ‘কালিপদের মিষ্টি’ চেখে দেখবেন। এছাড়া এখানকার চমচম, দই, রসগোল্লাও খেতে অসাধারণ।
ফিচার ইমেজ : Taskin Ahamed
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।