শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বুড়ির হাট জামে মসজিদ (Burir Hat Jame Masjid) বাংলাদেশের ইসলামী স্থাপত্যকলার এক অন্যতম নিদর্শন। বুড়ির হাট বাজারে প্রায় একশত বছর আগে এই বিখ্যাত মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ঐতিহাসিক বুড়ির হাট মসজিদ অত্র জেলার সর্বোৎকৃষ্ট স্থাপনাগুলোর মধ্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

ঐতিহাসিক এই বুড়ির হাট জামে মসজিদের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। জানা যায় কারুকার্যখচিত এই মসজিদ নির্মাণের জন্য ইংলেন্ড থেকে কংক্রিট, সিমেন্ট এবং কলকাতা থেকে দামী পাথর আনা হয়। ৮০ দশকে বুড়ির হাট মসজিদের বর্তমান বৃহদাকার মিনারটি নির্মাণ করা হয়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে প্রথমে মাওয়া আসুন। মাওয়া হতে লঞ্চ, বোট, ট্রলার অথবা ফেরীর মাধ্যমে নদী পার হয়ে মঙ্গল মাঝির ঘাট এসে বাসে শরীয়তপুর জেলা সদর পৌঁছাতে পারবেন। শরীয়তপুর শহর থেকে বাস কিংবা অটো ভাড়া করে সরাসরি বুড়ির হাট মসজিদ যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

শরীয়তপুর জেলায় তেমন ভাল মানের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে নুর হোটেল, চন্দ্রদাস রেস্ট হাউজ, হোটেল শের আলী অন্যতম।

কোথায় খাবেন

খাবারের জন্য জেলা শহরে বিভিন্ন মানের চাইনিজ এবং বাংলা খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। শরীয়তপুর শহরে অবস্থিত হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মধ্যে উৎসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, হোটেল জনতা, চিকন্দি ফুড পার্ক, চিলেকোঠা ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য।

ফিচার ইমেজ: আমার শরীয়তপুর

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে বুড়ির হাট জামে মসজিদ

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।