মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলায় অবস্থিত বেতিলা জমিদার বাড়ি (Betila Zamindar Bari) একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। সবুজ ঘেরা বেতিলা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতিলা খাল দিয়ে একসময় বিভিন্ন মহাজনী নৌকা ও বজরার যাতায়াত ছিল। বেতিলা খাল দিয়ে ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা নদীতে সহজেই যাওয়া যেত। এরই ফলশ্রুতিতে তৎকালীন সময়ের বড় বড় বণিকেরা এই বেতিলা খালকে নিরাপদ পথ হিসাবে ব্যবহার করতেন। অত্র অঞ্চলের অন্যতম বনিক সত্য বাবুর বসতবাড়িই লোকমুখে বেতিলা জমিদারবাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। অজপাড়াগাঁয়ে এমন বিশালাকারের দালান ও আভিজাত্যের প্রকাশ স্থানীয়দের কাছে জমিদারী থেকে কম ছিল না।

বেতিলা জমিদার বাড়ির নির্মাণ এবং তৎকালীন ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে কলকাতার বনিক জ্যোতি বাবু ছিলেন বেতিলা জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষ। ধারণা করা হয় পাটের ব্যবসার সুবিধার জন্য তিনি এই জমিদার বাড়ি তৈরী করেন।

যাওয়ার উপায়

রাজধানী ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল হতে নীলাচল, পদ্মা লাইন, সেলফি প্রভৃতি পরিবহণের বাস মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে বেতিলা বাস স্ট্যান্ড যাওয়ার বিভিন্ন বাইক, বেবি টেক্সি ও বাস রয়েছে। বেতিলা বাস স্ট্যান্ড হতে অটো বাইকে চড়ে বেতিলা বাজারের কাছে অবস্থিত বেতিলা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।

মানিকগঞ্জে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা

রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় বেতিলা জমিদার বাড়ি দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসা যায়। এছাড়া আসে পাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবে মানিকগঞ্জ (Manikganj) শহরে থাকার মত বেশকিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। খাবারের জন্য এখানে রয়েছে সাধারণ ও মাঝারী মানের বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের বিখ্যাত নিজামের মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুল করবেন না।

ফিচার ইমেজ: ফেরদৌস ওয়াহিদ

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

ম্যাপে বেতিলা জমিদার বাড়ি

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।