বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম। পাহাড় ও সমুদ্রে ঘেরা চট্টগ্রাম (Chittagong) জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। তাই চট্টগ্রাম জেলাকে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে ডাকা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের প্রাচীনতম বন্দরগুলির মধ্যে একটি, যার উপকূল টলেমির বিশ্ব মানচিত্রে আবির্ভূত হয়েছে। বন্দরটি বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর এবং দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় ব্যস্ততম বন্দর। রাজধানী ঢাকা (Dhaka) থেকে বাস, ট্রেন ও বিমানে চট্টগ্রাম আসা যায়। সড়ক পথে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম এর দূরত্ব ২৪৮ কিলোমিটার ও রেলপথে চট্টগ্রাম এর দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। 

ঢাকা থেকে বাসে চট্টগ্রাম

রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, গাবতলী, কল্যাণপুর, মহাখালী ও আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটের বিভিন্ন পরিবহন এর এসি, নন-এসি বাস নিয়মিত চলাচল করে। বাসে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগবে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা। 

বাসের ধরনভাড়া 
নন-এসি বাস৪৮০-১,১৫০ টাকা 
এসি বাস৭৫০-২,৩০০ টাকা 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী এসি, নন-এসি বাসের মধ্যে রয়েছে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, এনা, সেন্টমার্টিন পরিবহন, রয়াল কোচ, সৌদিয়া, সিল্ক লাইন, রিলাক্স, গ্রীন লাইন, প্রেসিডেন্ট ট্র্যাভেলস, টি. আর ট্র্যাভেলস, দেশ ট্র্যাভেলস ইত্যাদি। 

ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম

ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে চাইলে কমলাপুর অথবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর সোনার বাংলা, মহানগর প্রভাতী, চট্টলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণা এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে যাত্রা করতে পারেন।

ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌছায়সাপ্তাহিক বন্ধ 
সোনার বাংলাসকাল ০৭ঃ০০ দুপুর ১২ঃ১৫ বুধবার 
মহানগর প্রভাতীসকাল ০৭ঃ৪৫ দুপুর ০২ঃ০০ 
চট্টলা এক্সপ্রেসদুপুর ০১ঃ০০ রাত ০৮ঃ৩০ মঙ্গলবার 
সুবর্ণা এক্সপ্রেসবিকাল ০৪ঃ৩০ রাত ০৯ঃ৫০ সোমবার
মহানগর এক্সপ্রেসরাত ০৯ঃ২০ ভোর ০৪ঃ৫০ রবিবার 
তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১ঃ৩০ ভোর ০৬ঃ২০

শ্রেণীভেদে ঢাকা টু চট্টগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেটের মূল্য

ক্লাস ভাড়া 
এসি বার্থ  ১,১৭৯ – ১২২৯ টাকা 
এসি সিট ৭৮৮ – ৯০৪ টাকা 
প্রথম শ্রেণী ৪৬০ – ৬০৫ টাকা 
প্রথম শ্রেণী বার্থ  ৬৮৫ টাকা 
স্নিগ্ধা ৬৫৬-৮০৫ টাকা
শোভন চেয়ার৩৪৫-৪০৫ টাকা 
শোভন ২৮৫ টাকা 

ট্রেন সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ: 
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
ফোনঃ ০২-৯৩৫৮৬৩৪
মোবাইলঃ ০১৭১১-৬৯১৬১২
ওয়েবসাইটঃ www.railway.gov.bd

ঢাকা থেকে বিমানে চট্টগ্রাম

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভো এয়ার ও ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স  নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। বিমানে করে চট্টগ্রাম পৌছাতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা।

ঢাকা টু চট্টগ্রাম বিমান টিকেটের মূল্য

বিমান সংস্থা সর্বনিন্ম ভাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া 
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স৩,৩০৫ টাকা ৩,৫০০ টাকা 
নভো এয়ার৩,৬১৩ টাকা ৪,০৯৪ টাকা 
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স৩,৬৩০ টাকা ১১,১৭৫ টাকা 

বিমান ভাড়া সব সময় ভ্রমণের তারিখ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ভ্রমণ তারিখের নূন্যতম মাসখানেক আগে বিমানের টিকেট কাটলে সাধারণত ভাড়া কিছুটা কমে। আবার ভ্রমণের তারিখের খুব কাছাকাছি সময়ে টিকেট কাটলে অনেক ক্ষেত্রে টিকেটের স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।

প্রত্যেক ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী ২০ কেজি পরিমাণ চেক কৃত এবং ৭ কেজি কেবিন লাগেজ হিসাবে মালামাল বহন করতে পারবেন। আর বিজনেস ক্লাসের যাত্রীগণ বহন করতে পারবেন ৩০ কেজি এবং ৭ কেজি মালামাল। নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে বেশী মালামাল পরিবহন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের নিয়মানুসারে অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে।

ফিচার ইমেজ : শামছুল আলম খান মুরাদ

ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য ও আপডেট জানতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে

শেয়ার করুন সবার সাথে

ভ্রমণ গাইড টিম সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ পাতায় যোগাযোগ করুন।
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই ভ্রমণ গাইডে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে ভ্রমণ গাইড দায়ী থাকবে না।